শান্তির আহ্বানে বান্দরবানে ১২ জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রীতির মিছিল
শান্তির জন্য একসঙ্গে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট। কেএনএফ পাহাড়ের আতঙ্ক, তাদের শেকড় উপড়ে ফেলো—এ ধরনের কয়েকশ প্লেকার্ড হাতে শতাধিক বাঙালি ও ১২টি জাতিগোষ্ঠীর লোকজন সন্ত্রাস ছেড় শান্তির আহ্বানে বান্দরবানে সম্প্রীতির মিছিল করেছে। ১২টি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ছিল- চাকমা, চাক, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, বম, লুসাই, খিয়াং, ম্রো, খুমী, পাংখোয়া। তারা নিজেদের ঐতিহ্যগত পোষাক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বহন করে সম্প্রীতির মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার রাজার মাঠ হতে ১২টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সম্প্রীতির মিছিল ও জনসচেতনতা মূলক পথনাটক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে জেলার বিভিন্ন জায়গা হতে নিজেদের ঐতিহ্যগত পোষাক পরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসাধারণ মিছিল সহকারে জড়ো হতে থাকেন রাজার মাঠ প্রাঙ্গণে। পরে রাজার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য সম্প্রীতির মিছিল জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন
মিছিল পরবর্তী সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতামূলক এক পথনাটক অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর অপতৎপরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই অঞ্চলের পাহাড়ি বাঙালিসহ সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণ।
মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি তনয়া ম্রো, বান্দরবান হোটেল মোটেল রিসোর্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন, শিক্ষাবিদ ক্যশৈপ্রু খোকা, হেডম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উনিহ্লা মারমা, বম সোশ্যাল কাউন্সিলরের সভাপতি লাল মুন থাং বমসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতারা।
শহীদুল ইসলাম/এমএসএ