আদালতের আদেশের প্রতি অবজ্ঞা, প্রবেশন কর্মকর্তাকে তলব
আদালতের আদেশ অমান্য করায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রবেশন কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে লিখিত ব্যাখ্যাসহ তলব করেছেন আদালত। আগামী ৯ জানুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রবেশন কর্মকর্তাকে লিখিত ব্যাখ্যা ও চাহিত তদন্ত প্রতিবেদনসহ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সদর আমলি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মজনু মিয়া স্বাক্ষরিত আদেশ প্রবেশন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা এরশাদুল হক গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। আবেদনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা প্রবেশন কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হলেও প্রবেশন কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এমনকি আদালতের কাছে সময় চেয়ে কোনও আবেদনও জমা দেননি।
প্রবেশন অফিসারের এমন কর্মকাণ্ডকে আদালতের আদেশ অমান্য করা এবং আদেশের প্রতি অবজ্ঞা করা হয়েছে উল্লেখ করে আদেশে আদালত বলেছেন, কেন তার (প্রবেশন অফিসার) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে না তা লিখিত ব্যাখ্যা ও তদন্ত প্রতিবেদনসহ আগামী ৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত আলী বলেন, এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বরের আদেশটি প্রবেশন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। এ কারণে আদালত প্রবেশন কর্মকর্তাকে শোকজ করে লিখিত ব্যাখ্যাসহ আদালতে তলব করেছেন।
এর আগে গত বছর এপ্রিল মাসে আদালতের বিচারকাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে প্রবেশন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন আদালত।
এ ব্যাপারে জানতে প্রবেশন কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, প্রবেশন কর্মকর্তাকে শোকজের চিঠি এখনও পাইনি। এর আগে আদালতের আদেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে ঊর্ধ্ব কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
আরকে