সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা : প্রণোদনা চান আহরণকারীরা
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সব নদী ও খালে এই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে। এ সময় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে কাঁকড়া ধরা, বিক্রি, সংরক্ষণ করতে বা পরিবহন করতে পারবে না।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সুন্দরবনের প্রায় ৫ হাজার কাঁকড়া আহরণকারীর পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়বে। আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় দুই মাসের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের জীবিকা নির্বাহে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় আহরণকারীরা প্রজনন মৌসুমে আহরণ বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেও সরকারি প্রণোদনার অভাবে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করছেন, ক্ষতিপূরণ বা বিকল্প সহায়তা দেওয়া না হলে তাদের জীবিকা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।
আরও পড়ুন
প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়ার ডিম ছাড়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, কাঁকড়া শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম নয়, সুন্দরবনের খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষায়ও এটি বড় ভূমিকা রাখে। তবে প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া আহরণ চালু থাকলে তা প্রাকৃতিক ভারসাম্যে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করবে।
বুড়িগোয়ালিনী বন স্টেশন অফিসার মো. জিয়াউর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তবে দুই মাসের এই নিষেধাজ্ঞাকালে আহরণকারীদের জন্য কোনো প্রণোদনা বা সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা এখনো আসেনি।
বন বিভাগ সবাইকে প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইব্রাহিম খলিল/এআইএস