রাজশাহীতে কমেছে তাপমাত্রা, হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীত
রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রির ঘরে। এমন পরিস্থিতিতে বইছে হিমেল হাওয়া। গত কয়েকদিন থেকে দেরিতে হলেও সূর্যের দেখা মিললেও তাপ কম থাকায় হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজশাহীতে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে রাজশাহীতে ভোর রাত থেকে হিমেল হাওয়া (বাতাস) বইছে। দুপুরের দিকে কমলেও বিকেল থেকে হাওয়া বাড়ছে। বাতাসের ফলে এই অঞ্চলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল-সন্ধ্যায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় লাকড়ি জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিতে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সের মানুষদের।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মো. সেলিম বলেন, ঠান্ডা বাতাসের কারণে চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে চারপাশে। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকছে বাতাস। বেশি কষ্ট হচ্ছে সন্ধ্যার পর রিকশা চলাতে। দুইটা প্যান্ট, সোয়েটারে ওপরে জ্যাকেট জড়িয়েও কমছে না শীত। বাতাসের কারণে শরীরে কাপুনি ধরে যাচ্ছে।
নির্মাণ শ্রমিক মানিক মিয়া বলেন, সকাল-সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে যাওয়া-আসার সময় ঠান্ডা লাগছে। তবে রোদ উঠলে কমে যাচ্ছে। রোদের তাপ তেমন নেই। কিন্তু বাতাসের কারণে শরীরে রোদ লাগে না। বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় নগরের গরম পোশাকের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। বিক্রেতারা জানান, কয়েকদিন থেকে তুলনামূলক বিক্রি বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে জ্যাকেটগুলো। তারপরে বিক্রি হচ্ছে উলের সোয়েটারগুলো।
এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বর মাসের শুরুতে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নেমেছিল। তখন হিমেল হাওয়া ছিল না। কয়েকদিন থেকে কনকনে হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে তাপমাত্রা বেশি নিচে না নামলেও শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শাহিনুল আশিক/আরকে