তারুণ্যের উৎসবে কুয়াকাটায় জমকালো আয়োজন
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক স্লোগানে দেশব্যাপী আয়োজিত হতে যাচ্ছে তারুণ্যের উৎসব। সুন্দর ও জাঁকজমকভাবে তারুণ্যের এ উৎসব উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কুয়াকাটা উপজেলা প্রশাসন। দিবসটি উদযাপনে উপজেলা পর্যায়ের সব বিভাগকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) উৎসবটি উদযাপন উপলক্ষ্যে কুয়াকাটা উপজেলা প্রশাসন, ট্যুরিজম পার্ক সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম। এ সময় কুয়াকাটার রাজনৈতিক,ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তারুণ্যের এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থান এবং বীর শহীদদের আত্মত্যাগের চেতনা দৃঢ়ভাবে প্রস্ফুটিত করতে এবং নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়ে এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় এ উৎসবে আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিবে।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, এ আয়োজনে কুয়াকাটা সৈকতে থাকবে ঘুড়ি উৎসব, ফানুস উৎসব, ফুটবল খেলা, ভলিবল খেলা, পিঠা উৎসব, রাখাইন জলকেলি উৎসব, সমুদ্রে নৌকা দিয়ে তারার মেলা, পালা গান উৎসব, জারি গান উৎসব, ঘোড়ার দৌড়, মিনি ম্যারাথন, হাস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, নৌ র্যালিসহ নানান আয়োজন।
এছাড়াও কুয়াকাটা সৈকতে উন্মুক্ত কনসার্টে গান পরিবেশন করবেন জাতীয় ও আঞ্চলিক শিল্পীরা।
উপজেলা,পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও একযোগে উদযাপন করা হবে এ উৎসব। যেখানে থাকবে ক্রিকেট ম্যাচ ও বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যুব সমাবেশ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, জনসচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
সভায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, মহিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী, লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, রাখাইন নেতা এমং তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ উৎসব ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।