কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, পুলিশ হবে নিরপেক্ষ
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা পুলিশের ভাবমূর্তি উত্তরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেজন্য মিলনায়তন বা সেমিনারে বসে মিটিং না করে আজ কথা বলার জন্য এবং শোনার জন্য আপনাদের কাছে এসেছি। কারণ মিলনায়তন বা সেমিনারের মধ্যে মিটিং করলে মিটিংয়ের বিষয়বস্তু বাইরের কেউ জানতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) খুলনার রূপসা ঘাট সংলগ্ন স্ট্যান্ডে পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশার পাশাপাশি নাগরিকদের আইন মানার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পুলিশের প্রতি জনসাধারণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে কেএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ হবে নিরপেক্ষ, কোনো রাজনৈতিক দলের হবে না। ন্যায়পরায়ণ হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকবে। সাহসী ভূমিকা থাকবে। মাদক-সন্ত্রাসের বিষয়ে কোনো নাগরিক তথ্য প্রদান করলে তথ্যদাতার নিরাপত্তার জন্য তার পরিচয় গোপন রাখতে হবে। পুলিশ মানুষের প্রতি কেয়ারিং অ্যাটিটিউড দেখাবে। মানবিক আচরণ করবে। অভদ্র আচরণ করবে না।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘুষ খাবে না, বেতনের মধ্য থেকে সততার সহিত জীবনযাপন করবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। একইভাবে জনগণের প্রতিও পুলিশের কিছু প্রত্যাশা আছে। পুলিশ ও জনগণ পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। ভিন্ন মত ও ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে হবে। নাগরিক হিসেবে বিশেষ কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেমন তথ্য দেওয়া, আইন মেনে চলা, পারস্পরিক সহমর্মিতা। এই অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে না পৌঁছানো পর্যন্ত চলমান থাকবে।
সমাবেশে বলা হয়, পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গিয়ে পুলিশের প্রতি তাদের প্রত্যাশার কথা শোনার জন্য বিভিন্ন কমিউনিটির সঙ্গে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।
এ সময় খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনীর-উল-গীয়াসসহ বিভিন্ন থানা এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ