সংগ্রামের প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে, দ্বিতীয় অধ্যায় নির্বাচন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, পাঁচ আগস্ট আমরা যে সংগ্রাম করেছিলাম সেই সংগ্রামের মাত্র প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। সংগ্রামের দ্বিতীয় অধ্যায় হচ্ছে আমরা এ দেশে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। 

বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কো-অপারেটিভ মোড়ে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংগ্রামের সর্বশেষ অধ্যায় হবে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনশত জনপ্রতিনিধি আমরা সংসদে পাঠাবো। তারা জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশে আইনের শাসন  কায়েম করবে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এ দেশ পুনরায় একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে নতুন করে গড়ে উঠবে। যে গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল। 

মঈন খান বলেন, ছাত্ররা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিজয়ী হয়েছে। তারা বন্দুকের গুলিকে ভয় পায়নি ও তাদের কোনো পিছুটান না থাকায় তারা বিজয়ী হয়েছে। ছাত্ররা বুক ফুলিয়ে বলেছে, আমাকে গুলি করো দেখি কত গুলি করতে পারো। ছাত্ররা সাহস দেখিয়েছিল বলেই বাংলাদেশ থেকে স্বৈরশাসক পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। 

তিনি বলেন, তরুণ সমাজ রাজপথে ছিল, রাজপথে আছে, তোমরাই থাকবে। তোমাদের বলবো, তোমরা ক্লাস রুমে ছিলা, ক্লাস রুমে আছো এবং ক্লাস রুমেই থাকবে। লেখা পড়া নিয়মিতভাবে করতে হবে। লেখা পড়া ছাড়া কিন্তু সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে না। নয়তো এ দেশ তোমরা শাসন করতে গেলে আওয়ামী লীগ যে ভুল করেছিল আবার সেই ধরনের ভুল করার সম্ভাবনা থেকে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, তোমাদের প্রত্যেককে বলবো তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও। তোমাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আগামীর ভবিষ্যৎ, আগামীর পৃথিবী তোমাদের সামনে উন্মুক্ত হয়ে আছে। এ দেশ তোমরাই পরিচালনা করবে, এ দেশ তোমরাই শাসন করবে। এ দেশের মানুষ তোমাদেরই ভোট দেবে। তোমরা মাঝপথে এসে লেখা পড়া বিসর্জন দিতে পারো না। তোমরা ক্লাস রুমে ফিরে গিয়ে লেখাপড়া সম্পূর্ণ করে আবার জনগণের মাঝে ফিরে আসবে। জনগণ তোমাদের বুকে জড়িয়ে নেবে। এ দেশের মানুষ তোমাদের ভোটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকার, ড. আব্দুল মঈন খানের মেয়ে নওশীন খান, পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম.এ সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টনসহ অনেকে।

তন্ময় সাহা/এমএসএ