নতুন সূর্য উপভোগ করতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়
পুরোনো বছরের দুঃখ-গ্লানি মুছে নতুন বছরের নতুন সূর্য উপভোগ করতে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। বছরের শেষ দিন মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকেই সৈকতে পর্যটকদের পদচারণা বাড়তে থাকে। রাত ১২টার পর সৈকতে নানা আয়োজন এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানান পর্যটকরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ভোরে নতুন সূর্যোদয় উপভোগ করতে চর গঙ্গামতি, গঙ্গামতি, ঝাউবন ও জিরো পয়েন্টসহ কুয়াকাটার সব দর্শনীয় স্থানে উপস্থিত হন পর্যটকরা। তবে মেঘ ও ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যোদয় পুরোপুরি উপভোগ করতে না পারলেও সৈকতের তীরে আছড়ে পড়া ছোট ছোট ঢেউ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে পর্যটকদের।
২০২৫ সালের প্রথম প্রহরে কুয়াকাটা সৈকতের গঙ্গামতি পয়েন্টে দেখা হয় ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক জহিরুল ইসলাম মাসুদের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল কুয়াকাটায় এসেছি পরিবারসহ। থার্টিফার্স্ট নাইট খুব সুন্দর এবং আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়েই উদযাপন করেছি। খুব সকালে নতুন বছরের নতুন সূর্য দেখতে পরিবারসহ এখানে এসেছিলাম। কিন্তু ঘন কুয়াশার আড়ালে সূর্য ঢেকে থাকায় আমরা দেখতে পারিনি। সেজন্য একটু খারাপ লাগছে। তবে কুয়াকাটার সুন্দর পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, আশানুরূপ পর্যটক কুয়াকাটায় না হলেও, নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। নতুন বছরে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, নতুন বছরে যেসব পর্যটক কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছেন, তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ পোশাকে ও সাদা পোশাকে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এসএম আলমাস/জেডএস