কুয়াকাটা সৈকত ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উদযাপন করলেন হাজারো পর্যটক
পুরনো বছরের সমস্ত গ্লানি ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানাতে গত রাতে কুয়াকাটা সৈকতে উল্লাসে মাতেন হাজারো পর্যটক। আতশবাজি আর ফানুশের রঙিন আলোয় আলোকিত হয় পুরো সৈকত। শুধু সৈকত নয় কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো সাজানো হয় রঙিন আলোয়। ছোট-বড় অনেক হোটেলেই ছিল নানা আয়োজন।
তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন এ বছর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে আশানুরূপ পর্যটক হয়নি কুয়াকাটায়। এদিকে পুরো কুয়াকাটা জুড়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটের সময় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এবং বিভিন্ন হোটেল- মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে দেখা যায় আলোর ঝলকানি। একের পর এক আতশবাজির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। কেক কাটা, ফানুস ওড়ানো, আতশবাজি ফোটানো, ডিজে পার্টি, কনসার্টসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় উদযাপন হয় থার্টিফার্স্ট নাইট।
কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি গত ৬ বছর ধরে এই দিনে কুয়াকাটা আসি। প্রথম দিকে বন্ধুদের সাথে এলেও গত তিন বছর ধরে পরিবার নিয়ে আসছি। কুয়াকাটায় থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের পরিবেশটা খুবই সুন্দর। তাই আমি প্রতি বছর এখানে চলে আসি। তবে আগের তুলনায় এ বছর পর্যটক কিছুটা কম।
আরও পড়ুন
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর অনেক পর্যটক কম। তবে যে পরিমাণ পর্যটক কুয়াকাটায় আছে, তারা যেন মেতেছে উৎসবে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছে থার্টিফার্স্ট নাইট।
এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন তপু ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রতিবছর কুয়াকাটায় পর্যটকদের মিলন মেলা বসে। তবে এ বছরের চিত্রটা একটু ভিন্ন। পর্যটক এবং আয়োজন কম থাকলেও নিরাপত্তায় কোনো কমতি ছিল না।
এসএম আলমাস/এনএফ