১৪ বছরেও উদ্ধার হয়নি সাবেক সেনা সদস্যের বসতবাড়ি
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্যের বসতবাড়ি রত্তন ফরাজি গং কর্তৃক জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ বছরেও উদ্ধার করতে না পারায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক সেনাসদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ভুক্তভোগী মো. আব্দুল মান্নান।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের হলরুমে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মীর উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ উল্লেখ করে সবার সহযোগিতা কামনা করেন এ মুক্তিযোদ্ধা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি কর্মসূত্রে পরিবার-পরিজনসহ দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাস করতাম। ২০০৩ সালে আলিপুর আমার বসতবাড়ির একটি অংশে একটি ঘরে রত্তন ফরাজীকে পরিবারসহ থাকতে দিই কিন্তু ২০১০ সালে যখন আমি আলিপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করি তখন আমি রত্তন ফরাজীকে আমার বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে সে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। জরুরি কাজে আমি ঢাকায় অবস্থায় করছিলাম, তারা সেই সুযোগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় আমার বাড়ির একাংশ তারকাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। বাধা প্রদান করতে গেলে আমার সহধর্মিণীকে মারধর করে এবং আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমি ঢাকা থেকে ফিরে মহিপুরে থানায় মামলা করতে গেলে তখনকার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুব তালুকদার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. বারেক মোল্লা এবং ইউসুফ মেম্বারের হস্তক্ষেপের কারণে থানায় মামলা নিতে অপারগতা জানায়। তখন আমি কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করি যা ওই সময় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর আমরা আবার পুলিশের কাছে আমাদের অভিযোগপত্র দাখিল করি বাড়ি ফেরত পাওয়ার জন্য। পুলিশ একাধিকবার রত্তন ফরাজীকে মীমাংসার জন্য থানায় ডাকলেও সেখানে সে উপস্থিত হয়নি। সে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি প্রদান করিতেছে। বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময় ১০ লাখ টাকা অথবা ১০ শতাংশ জায়গা চাঁদা হিসেবে দাবি করিতেছে। চাঁদা না দিলে আমি ও আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, আমার বাড়ি উদ্ধারে এবং যে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে আমার সামনে উপস্থিত সব সাংবাদিকবৃন্দ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রত্তন ফরাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এসএম আলমাস/এএমকে