নীলফামারীতে তারুণ্যের উৎসবের সভায় আ.লীগ নেতা
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় মোস্তাফিজার রহমান যাদু নামে এক পদধারী আওয়ামী লীগ নেতা উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
মোস্তাফিজার রহমান জাদু চাঁদখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ২০২৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওই সভাতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সেই নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আওয়ামী লীগের ওই নেতা সভায় উপস্থিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি নিন্দা জানিয়েছে ছাত্র-জনতা। তার উপস্থিতির বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে উপজেলা ও জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দাওয়াত পেয়েছেন কিন্তু তিনি তো আওয়ামী লীগের একজন নেতা। এর আগে একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করে সেখানে আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি আজকে তারুণ্যের উৎসবে বক্তব্যের সময় এটি বলেছি। আমরা কীভাবে তারুণ্যের উৎসব করব, আজকে আমাদের আশপাশে আওয়ামী লীগ নেতাকে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসররা আশপাশে থাকলে আমরা কীভাবে তারুণ্যের উৎসব করি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুল মালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের না জানিয়ে ইউএনও মহোদয় আওয়ামী লীগ নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা সেখানে কথা বলেছি। পরে সেখানে আওয়ামী লীগের ওই নেতা থাকায় আমরা কয়েকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বের হয়েছে এসেছি।
এ বিষয়ে চাঁদখানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান যাদুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে একটা মিটিং হয়েছে। ওখানে সব চেয়ারম্যানদের আসতে বলা হয়েছিল। সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা আসছিলেন। উনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে কেন আসবেন। তিনি একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেই হিসেবে এসেছেন। এখানে চেয়ারম্যানরা যুক্ত আছেন, স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম আছে, সেটা অবহিত করণের জন্য সবাইকে আসতে বলা হয়েছিল।
শরিফুল ইসলাম/এএমকে