কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১০.৯ ডিগ্রি
বছরের শেষ দিনে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের হিম অঞ্চল পঞ্চগড়। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের মাত্রা।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস ঢাকা পোস্টকে জানায়, আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে ২০২৪। বছরের শুরুতে জানুয়ারির ১ তারিখে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, আগামী দিনগুলোতে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাবে। এতে নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। মাসের শুরু থেকে শৈত্যপ্রবাহ প্রথম সপ্তাহজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলতে পারে। সেই সঙ্গে কুয়াশাও বাড়তে পারে।
স্থানীয়রা বলছেন, এ শীত মৌসুমে তারা দিনের তুলনায় রাতে বেশি শীত অনুভব করছেন। দিন-রাতে দুই রকম তাপমাত্রা। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসছে এমন অনুভব করছেন তারা। উপায়ন্তর না পেয়ে সন্ধ্যা-ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করছেন তারা। দিনে রাতে দুই রকম তাপমাত্রার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বছরের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হলো ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বছরের শুরুতে জানুয়ারির ১ তারিখে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিগত কয়েক বছরে এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এসকে দোয়েল/আরকে