বিক্ষুব্ধ জনতার সড়ক অবরোধ, গোল্ডেন লাইনের দুই বাস ভাঙচুর
ফরিদপুরে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় হৃদয় শেখ (২৩) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রাণ কোম্পানির গাড়ির ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে। তারা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চারটি বাস আটকে রাখে। এর মধ্যে দুটি বাস ভাঙচুর করে। পরে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সাপেক্ষে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেয় জনতা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর সদরের খন্দকার নুরু মিয়া বাইপাস সড়কে আয়েশা অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ দোকানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় শেখ সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বিল মাহমুদপুর গ্রামের শেখ আব্দুল জব্বারের ছেলে। হৃদয় দুই মাস আগে বিবাবহবন্ধবে আবদ্ধ হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খন্দকার নুরু মিয়া বাইপাস সড়কে (রাজবাড়ি রাস্তা মোড় থেকে মুন্সিবাজার) প্রাণ কোম্পানির তিন চাকার গাড়ির ডেলিভারি ভ্যান চালক হৃদয় শেখ ভ্যানসহ পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। অটোমোবাইল ওয়ার্কশপের সামনে এলে পেছন দিক থেকে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস ওই ভ্যানকে ধাক্কা দিলে হৃদয় শেখ ছিটকে রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় গোল্ডেন পরিবহনের বাসটি দ্রুত চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্সিবাজার এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর এক ঘণ্টা পর বিক্ষুব্ধ জনতা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চারটি বাস আটকে রাখে এবং ফরিদপুর কাউন্টার থেকে বাকি বাসগুলো চলাচল করার অনুমতি দেয়নি। আটক চারটি বাসের মধ্যে দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, পুলিশ গোল্ডেন লাইন কর্তৃপক্ষ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে। আলোচনায় বাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসগুলো ছেড়ে দেয়। তবে এ ব্যাপারি নিয়মিত আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জহির হোসেন/জেডএস