টিসিবির কার্ড নিয়ে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে সঠিকতায় যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। সঠিক লোকের কাছে পৌঁছায়নি। অবশ্যই এখানে অনেক বেশি ব্যত্যয় ছিল।
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে টিসিবির কার্যক্রম নিয়ে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় অংশজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রায় ১ কোটি লোককে নিয়ে টিসিবি কার্যক্রম চলছে। আমরা প্রথম ধাপে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার জন্য ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করেছি। ৫৭ লাখ এবং পরে আমরা আরও ৬ লাখ বর্ধিত করে ৬৩ লাখ কার্ড তৈরি করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছিলাম বিভিন্ন উপকার ভোগীর বাড়ি ঘুরে দেখে বোঝার জন্য। উপকারভোগী যে সিলেকশনটা ছিল সেটা সঠিক ছিল কি-না? এখানে কোনো ব্যত্যয় আছে কি-না। ব্যত্যয়গুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। সে অনুযায়ী যে সংশোধনগুলো আনা দরকার, সেই সংশোধনগুলো বোঝার জন্য রাজশাহী অঞ্চলে প্রাথমিক ভিজিট।
তিনি আরও বলেন, টিসিবির কার্ড এবং পণ্য প্রকৃত মানুষের হাতে ন্যায্যমূল্যে তুলে দিতে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। একইসঙ্গে বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করতে, শুধু রমজান মাস নয় কোরবানি পর্যন্ত বাজারে পণ্যের সরবরাহ এবং ঘাটতির সমতা রাখার চিন্তা করছেন। দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। সরবরাহে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটিও ঠিক করে ফেলা হবে।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে সংক্ষিপ্ত ভিজিটে এসেছি। পরবর্তীতে দেশের আরও বিভিন্ন অঞ্চলে যাব। গিয়ে আমার প্রয়োজনীয় যে সংশোধনী সেটা উপলব্ধি করে আমরা সংশোধনের চেষ্টা করব। ডিলার ও স্টেক হোল্ডার জন্য কী ম্যাসেজ ছিল? এমন কথার উত্তরে তিনি বলেন, ডিলারদের কাছে ম্যাসেজ ছিল ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা। প্রকৃত যারা উপকার ভোগী। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা এই টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাওয়ার জন্য উপযুক্ত তাদের কাছে পৌঁছানো।
এতোদিন কি সঠিক মানুষের কাছে কার্ড পৌঁছায়নি? এমন কথার উত্তরে তিনি বলেন, না, অবশ্যই এখানে অনেক বেশি ব্যত্যয় ছিল। এতো দিন পর্যন্ত যে বিভিন্ন রকমের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে সঠিকতায় যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। আমরা এই ঘাটতিটাকে সঠিকতায় আনার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
সার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার জানা তথ্য অনুযায়ী দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই। মজুত পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো। আমি ক্রয় কমিটির মিটিংয়ে যেটা দেখেছি সেখান থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে কোনো ধরনের ঘাটতি নেই।
শাহিনুল আশিক/এএমকে