বাগমারায় পুলিশকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম বিএনপি নেতার
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিনে বাগমারায় অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ক্যাডারদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন বিএনপির নেতা সৈয়দ শাহিন শওকত। এই সময়ের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বাগমারায় থাকতে পারবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জের কুটিরশিল্প মাঠে পৌর বিএনপির সম্মেলনে বিএনপির রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ শাহিন শওকত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী গুণ্ডাদের গ্রেপ্তার করেননি। তাদের না ধরে অপরাধের মাত্রা কিন্তু বাড়িয়েছেন। জনগণের কাছে এর জবাবদিহি করতে হবে।’
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আপনাদের এক মাসের নয়, ১৫ দিনের সময় দেওয়া হলো, এই সময়ের মধ্যে অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করলে বাগমারা থেকে আপনাদের বিতাড়িত করা হবে।’ সৈয়দ শাহিন শওকতের এমন বক্তব্যের সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাততালি দিয়ে তার বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
সম্মেলনে স্থানীয় বক্তারা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিনে বাগমারায় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়েছেন। তারা এসব অস্ত্র নিয়ে জনতার ওপর হামলা করেছেন। তবে এসব অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। প্রশাসন তাদের ধরছে না।
বিএনপির তাহেরপুর পৌর শাখার সভাপতি আবু নঈম মো. শামসুর রহমান ওরফে মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, কোন শক্তির বলে অপরাধীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন না।
দলের উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় প্রশাসনে এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা আছে। তারা সঠিক কাজ করছেন না। তাদের এখানে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে অপসারণের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয় বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার যেসব মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি, অভিযুক্ত ও তদন্তে যাদের নাম আসছে আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিএনপি নেতার ১৫ দিনের আলটিমেটামের বিষয়ে বলেন, আমরা কাজ করছি। অনেক আসামি ধরেছি। এখন কে কী বলল সেটা কিভাবে বলব বলেন?
শাহিনুল আশিক/আরকে