অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী দোসর আমলাদের কাছে জিম্মি : আবু হানিফ
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী দোসর আমলাদের কাছে জিম্মি রয়েছে। আমলারা দেশের সরকারের বিভিন্ন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। সচিবালয়ে গত কয়েক দিন যাবত আমলারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের পরিকল্পনায় সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, এই ঘটনায় আমলারা জড়িত সঠিক ভাবে তদন্ত করলে সেটা বেড়িয়ে আসবে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় শহরে কালিবাড়ী মোড়ে বিজয় মঞ্চে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী তরুণরা কেমন বাংলাদেশ চায় ‘শীর্ষক আলোচনা সভা’ ও নবগঠিত জেলা কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমলাদের রক্ষা করার জন্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এর মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীরাদের রক্ষা করা হচ্ছে। সবচেয়ে হাস্যকর যেই অগ্নিকাণ্ডে আমলারা জড়িত সেই ঘটনার তদন্ত করবে আমলারা। এই আওয়ামী দোসর আমলারা যেকোনো সময় প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করতে পারে।
আরও পড়ুন
আবু হানিফ বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করেছে। অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ আমরা পেয়েছি। এখন শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করে একদল কিংস পার্টি খোলা নিয়ে ব্যস্ত। অথচ এখনও আন্দোলনে আহত অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পায়নি, নিহতদের পরিবারও ক্ষতিপূরণ পায়নি। ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুরের ভূমিকা আর ৭৪ সালের ভূমিকা যেমন এক ছিল না, তেমনি ৫ই আগস্টের আগে আর ৫ই আগস্টের পরে ছাত্র সমন্বয়কদের ভূমিকা কিন্তু এক নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি গত ১৫ বছর নির্যাতিত নিপীড়িত হয়েছে। তাদের অনেক নেতাকর্মী গুম হয়েছে নিহত হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর বিএনপির কিছু নেতাকর্মী যা করছে তা মেনে নেওয়ার মত না। তারা ক্ষমতায় আসার আগেই চাঁদাবাজি ও দখলদারি শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের পতন থেকে বিএনপিকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
দলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে ২৪ পরবর্তী গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন আমাদের সবার। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী চেতনা বাণিজ্য একটি দল নিজের সম্পত্তিতে রুপান্তর করেছিলো, ঠিক একইভাবে এ অভ্যুত্থান পরবর্তী চেতনাকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ চেতনা বাণিজ্যকারীদের রুখে দিতে হবে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, নির্বাচনের কথা শুনলে শেখ হাসিনার মুখ মলিন হতো এখন বর্তমান উপদেষ্টাদেরও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে মুখ মলিন হয়ে যায় এটা ভালো লক্ষণ নয়। আমরা সংস্কার চাই কিন্তু দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বের সরকারও চাই। আওয়ামী লীগের পরিণতি থেকে নব্য দখলদাররা শিক্ষা নিলে ভালো হবে নয়তো হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পরিণতি বরন করতে হবে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সোহাগ মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট মোমিন, কিশোরগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন লিটন, সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ আল ইমরান, জেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতা, অভি চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মোহসিন, যুব নেতা শরিফুল ইসলাম, কোখা সিদ্দিক, ছাত্র নেতা রিপন রাজ, ইমরান, নারী নেত্রী মোশফিকা বৃষ্টি প্রমুখ।
এআইএস