নিখোঁজের ৬ দিন পর নদীতে মিলল কিশোরের মরদেহ, আটক ৩
জামালপুরের মেলান্দহে নিখোঁজের ছয় দিন পর শাওন (১৪) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চরগোবিন্দী বাংলাবাজারের পাশে কেকরা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাওন চরগোবিন্দী বাংলাবাজার এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন—মাহমুদপুর ইউনিয়নের আজিজপুর এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ (১৭), মাদারগঞ্জ উপজেলার ধলিরবন্দ এলাকার আলিমুদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২১) ও একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন আকন্দ (২২)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় শাওন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে শাওনের বাবা গোলাম মোস্তফা মেলান্দহ থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শাওনের মোবাইলসহ ওই গ্রামের পাশের আজিজপুর এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ মিয়াকে (১৭) আটক করে পুলিশ। পরে চরগোবিন্দী বাংলাবাজারের পাশে কাকরনদীর পানির নিচ থেকে নিহত শাওনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল ও সুমন আকন্দকে আটক করা হয়।
চরগোবিন্দী এলাকার লিখন বাবু বলেন, ওই এলাকায় একটি স্লুইচ গেটের কাজ চলছে। প্রায় একমাস আগে সেখানে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে আসা বিদ্যুৎ, ইসমাইল ও সুমনের সঙ্গে স্থানীয় একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে শাওনের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা বসে মীমাংসা করে দেন। আমাদের ধারণা, তারাই শাওনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মুত্তাছিম বিল্লাহ/এএমকে