গোয়ালন্দে গরু চোর সিন্ডিকেটের হোতা চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া হাচেন মোল্লার পাড়ায় পুলিশী অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গাজী হাওলাদার (৭৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি গাজী হাওলাদার উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাচেন মোল্লার পাড়ার মৃত ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অনুসন্ধানে নেমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজী হাওলাদার ওরফে গাজী কসাইয়ের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাড়িতে কতগুলো গরু রয়েছে জানতে চাইলে সে গরুর সংখ্যা বলতে না পাড়ায় সন্দেহ ঘনীভূত হয় এবং গাজির দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ি থেকে ১০টি ষাঁড় গরু ও একই নাম্বার প্লেটের দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় গরুগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাকিতে ক্রয় করে তার বাড়িতে এনে রেখেছেন।
পরবর্তী সময়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করে ১০টি ষাঁড় গরু, দুটি মোটরসাইকেলসহ গাজী হাওলাদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। যাচাই-বাছাই করে গরুগুলোকে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া একটি মোটরসাইকেলের সঠিক তথ্যাদি দেওয়ায় ওই মোটরসাইকেলটি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে নাম্বারবিহীন নীল রংয়ের আরটিআর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেলের বিষয়ে সঠিক তথ্যাদি দিতে না পারায় চোরাই হিসাবে মোটরসাইকেলটিসহ গোয়ালন্দ ঘাট থানায় গাজির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে পূর্বের গরু চুরির বিষয়ে মানিকগঞ্জ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানায় আরও দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া তার ছেলেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় গরু চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, উপজেলার উজানচর এক দরিদ্র কৃষকের দুটি ষাড় গরু চুরি হওয়ায় পুলিশ অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তার বাড়িতে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ ১০টি ষাঁড় থানায় নিয়ে এসে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই গরুগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে কি না তদন্ত চলছে।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরকে