খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে বিএনপির উদ্বেগ

খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলেন, খুন, অস্ত্রের মহড়া, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাটের মতো ঘটনা খুলনায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতি রাতেই নগরীসহ জেলার কোথাও না কোথাও ঘটছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও খুনসহ সন্ত্রাসী ঘটনা। গত চার মাসে খুলনা মহানগরী ও জেলায় ২৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এর দায়ভার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা এড়াতে পারে না।

তারা বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দীর্ঘ চার মাস পেরিয়ে গেলেও খুলনায় এখনো পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি পুলিশ। আর এ সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন পলাতক ও জেলে থাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাও এলাকায় ফিরে করছে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্থানীয় কিশোর গ্যাং ও বখাটেরা। দিনে দিনে সন্ত্রাসীদের সংখ্যা বাড়ছে। আর তাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নগরবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিসম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খুলনায় সফরকালে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিলেও মাঠপর্যায়ে তার বাস্তবায়ন না থাকায় বেড়েছে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদকের বিস্তারসহ পাড়া-মহল্লায় সশস্ত্র মহড়া। 

বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী দিনে আরও অবনতি ঘটবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।

মোহাম্মদ মিলন/এমজে