হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে মানুষ। ঘন কুয়াশা না থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় কনকনে ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে। হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক আজিজুল হক বলেন, দিনে সূর্য উঠলেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে স্বস্তি লাগে না। ফলে খেতে কাজ করা কষ্টকর হয়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, শীত নিবারণের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে বরাদ্দ পাওয়ামাত্র তা বিতরণ করা হবে।
জুয়েল রানা/আরকে