ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় বাংলাদেশির মরদেহ, রয়েছে গুলির চিহ্ন
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের সমনভাগ চা বাগানের ভারতীয় সামীন্তবর্তী পাথারিয়া বনের গহীনে নিখোঁজ হওয়া এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম গোপাল ভাগতি (৩৫)।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সমনভাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অখিল ভাগতির ছেলে গোপাল ভাগতি বাঁশ কাটতে পাথারিয়া বনের গহীনে যান। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে রোববার স্থানীয় কিছু চা শ্রমিক সীমান্তের ১৩৯১ ও ১৩৯২ নম্বর মূল সীমান্ত খুঁটির শূন্য রেখার ২০০ গজ অভ্যন্তরে একটি মরদেহ দেখতে পান।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে এবং জিবি ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গুলি করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে সীমান্তের ওপারে মরদেহ ফেলে গেছে। তার সাথে থাকা আরও কয়েকজন শ্রমিক পালিয়ে আসায় তারা রক্ষা পায়।
স্থানীয় বেলাল মিশুরি জানান, গোপাল বাঁশ আনতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রোববার স্থানীয়রা খোঁজ নিয়ে ওই স্থানে তার মরদেহ পায়। মরদেহে গুলির চিহ্ন আছে। পুলিশ-বিজিবি এসে মরদেহ নিয়ে গেছে।
বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ইমরান আহমদ জানান, গোপালসহ আরও কয়েকজন দিনমজুর পাহাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়েছিলেন। এসময় বিএসএফ গুলি করলে গোপাল নিহত হন। ভয়ে তার সঙ্গে থাকা বাকি কয়েকজন সেখান থেকে পালিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেহেদী হাসান জানান, রোববার সকালের দিকে কিছু চা বাগান শ্রমিক বিজিবির বিওপির টহল দলকে জানায়- সীমান্ত পিলার ১৩৯১/২-এস এর নিকটবর্তী এলাকায় একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে তারা দেখেছেন। পরে বিওসিটিলা বিওপির টহল দল তৎক্ষণিক পুলিশসহ সেখানে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মৃতদেহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, মরদেহ থানায় পৌঁছেছে। ময়নাতদন্তের জন্য এটি মৌলভীবাজার সদর হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
টিএম