মানুষের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করাই সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্য
৬৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেছেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড পার্বত্য বান্দরবানে কাজ শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পার্বত্য বান্দরবানের সকল প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেনাবাহিনীর এই পথচলায় আমরা মনে করি ৬৯ পদাতিক বান্দরবানের সকল মানুষের একটি ব্রিগেড। এ দেশের যত জনগোষ্ঠী আছে আমরা সকলের সেনাবাহিনী। আমাদের উদ্দেশ্য এ অঞ্চলের সকল মানুষের জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে এখানের মানুষ সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় তৈরি করতে পারে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বান্দরবানে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ দুপুরে সেনা রিজয়নের আয়োজনে বান্দরবান সেনানিবাসের বাস্কেটবল গ্রাউন্ড মাঠে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান আরও বলেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবানে দীর্ঘ ৪৮ বছরে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ চলাতে অনেক সেনাসদস্য তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাদের আত্মবলিদানের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যত সাফল্য আছে, ব্যর্থতা আছে সামগ্রিকভাবে পথ চলাতে যারা বিভিন্নভাবে আমাদের পথচলায় সারথি ছিল তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হয়। পরে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ও অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের বিভিন্ন সময়ের কর্মকাণ্ডের স্থিরচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
মো. শহীদুল ইসলাম/এমজেইউ