দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু
দেশের বৃহত্তম জয়পুরহাট চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় মিলের কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি জয়পুরহাট চিনিকলের ৬২তম আখ মাড়াই মৌসুম।
আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) সচিব আনোয়ার কবীর। তিনি বলেন, সরকার জয়পুরহাট সুগার মিলের জন্য ২২০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। যে কয়দিন মিলটি চলবে সেসময়ের মধ্যে আখচাষিদের নিয়মিতভাবে এই টাকা পরিশোধ করা হবে। আখের টাকা নিয়ে কোনো অভিযোগ চাষিরা দিতে পারবেন না। এ ছাড়া আখের মূল্যও বাড়ানো হচ্ছে। তাই চাষিদের প্রতি আহ্বান এই মিলের ভবিষ্যৎ আপনাদের হাতে। কৃষকেরা যত পরিমাণ আখ চাষ বাড়াবেন, মিলটির কার্যক্রমও বৃদ্ধি পাবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. আখলাছুর রহমান। তিনি বলেন, এই মাড়াই মৌসুমে ৩৪ দিন মিল চালানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আমরা কৃষকদের বিভিন্নভাবে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষকেরা তাদের জমিতে যেসব ফসল লাগাচ্ছেন তাদের সেই জমির কিছু অংশে আখ লাগানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদেরকে সাথি ফসল চাষ করার জন্যও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
আরও বক্তব্য দেন বিএসএফআইসির চিফ (সিপিই) কৃষিবিদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কেএম মামুন খান চিশতী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ প্রমুখ।
মিলের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, ৬৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত চিনিকলটিতে ৬০তম মৌসুমে ৬৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল। ৬১তম মাড়াই মৌসুমে ১৬ কোটি টাকা কমে ৫৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সবমিলিয়ে লোকসান এ পর্যন্ত মোট প্রায় ৭৯৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
চলতি ৬২তম আখ মাড়াই মৌসুমে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫ মেট্রিক টন। মিল গেটে প্রতি কুইন্টাল আখের দাম ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিলটি ৩৪ দিন চালু থাকবে। চলতি ৬২তম মৌসুমেও লোকসানের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চম্পক কুমার/এমজেইউ