পঞ্চগড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী পেলো শীতবস্ত্র ও স্কুলব্যাগ
উত্তরের জেলায় তাপমাত্রার পারদ নেমে যখন হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ের মানুষ। এ সময় কোমলমতি শিশুদের শীতের উষ্ণতা দিয়ে হাসি ফোটাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুস্বর্গ।
সংগঠনটি এবার শীতের শুরুতেই সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের বেশ কয়েকটি স্কুলের সাত হাজার শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতের জামার সঙ্গে পড়াশোনায় মনোযোগী করতে দিচ্ছে একটি করে ব্যাগ। শিশুদের সঙ্গে একবেলা বনভোজনের মতোই খাবার উপহার দিচ্ছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃতীয় পর্যায়ে পঞ্চগড় চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীত আনন্দ উৎসবের আয়োজনের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থীর হাতে শীত উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীত উৎসবের আলোচনায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক অঞ্জন মল্লিক ও শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কবির আহমেদ আকন্দ প্রমুখ।
শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন জানায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও উদ্যোগে গড়ে ওঠা সংগঠনটি শীত আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে প্রতিবছরের মতো এবছরেও পঞ্চগড় জেলার সাত হাজার শিশু-কিশোরকে শীতের কাপড়, স্কুল ব্যাগ উপহার দেওয়া হচ্ছে। এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের সহযোগিতায় জেলার ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে এসব উপহার। ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজার শিশু-কিশোরের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে শীতের এই উপহার। শিশুদের মধ্যে শীতের নতুন কাপড় আর নতুন স্কুল ব্যাগ পেয়ে পারিবারিক আনন্দের সঙ্গে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা পরিচালক কবীর আকন্দ বলেন, এ বছর আমরা শীত উৎসবের আয়োজনের মাধ্যমে এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের সহযোগিতায় ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাত হাজার শিশুকে শীতের উপহার হিসেবে নতুন জামা ও স্কুল ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। মূলত ২০১০ সালে সীমান্তের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুলগামী করতে শিশুস্বর্গ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময় থেকে শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তিতে পড়ালেখা করছে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী দেশের নামদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। এ ছাড়া শীতবস্ত্র, শিক্ষাবৃত্তি, স্বল্প শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান, নারীদের স্বনির্ভরতা গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের আইটি প্রশিক্ষণ, মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে রওশন আরা মেমোরিয়াল শিশুস্বর্গ বিদ্যালয় চালু, পাঠাগার, নারী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ চালু করেছে শিশুস্বর্গ ফাউন্ডেশন।
এসকে দোয়েল/এএমকে