রোদে কমেছে শীতের তীব্রতা, রাতে নামে তাপমাত্রার পারদ
শৈত্যপ্রবাহ কাটার পর দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রির ওপরে উঠেছে তাপমাত্রা। সকালে রোদ উঠে যাওয়ায় কমেছে কনকনে শীতের তীব্রতা। তবে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে শীতের দাপট।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ডে কমেছে কিছুটা শীতের তীব্রতা।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতের প্রকোপ থাকলেও কুয়াশাহীন ভোরে রোদ ছড়াচ্ছে সূর্য। বেলা বাড়তে থাকলে কমে যেতে থাকে শীতের মাত্রা। ফলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য দেখা মিলছে সকাল থেকেই। সকালেই দেখা গেছে চা বাগানে শ্রমিকদের পাতা তুলতে। পাথর শ্রমিকদের কাজে যেতে। আলু ও গম রোপণের মৌসুমে ক্ষেত তৈরিতে ব্যস্ততা সময় পার করছেন চাষিরা।
সকালে চা শ্রমিক জামাল ও নাসির বলেন, সকালে রোদ থাকায় শীতের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে ভোরের শিশিরের কারণে চা পাতাগুলো তুলতে গেলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে।
পাথর শ্রমিক কামালসহ কয়েকজন বলেন, সকালে রোদ উঠে যাওয়ায় কাজে যেতে অসুবিধা হচ্ছে না। তবে নদীতে পাথর তুলতে গেলে নদীর পানি বরফের মতো লাগে। দিনভর পাথর তুলে রাতে সর্দি-কাশি এমনকি জ্বরও এসে যায়। কিন্তু কী করবো, পরিবারের কথা চিন্তা করেই বরফগলা নদীতে নেমে পাথর তুলতে হয়।
আরও পড়ুন
স্থানীয়রা বলছেন, দিনে ঠান্ডা নেই। ভোরেই ঝকঝকে আকাশে দেখা মেলে সূর্য। যার কারণে সকালে শীতের মাত্রা কমে যায়। তাপমাত্রা যেন জিরোতে নেমে আসে রাতে। রাতভর অনুভূত হয় বরফের শীত। বরফ হয়ে ওঠে ঘরের বিছানা, ঘরের ফ্লোর থেকে সব আসবাবপত্র। শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র মানুষগুলো পোহাচ্ছে দুর্ভোগ।
শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন ধরে তাপমাত্রা বেড়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ডে কমেছে কিছুটা শীতের তীব্রতা।
এসকে দোয়েল/এএমকে