আমার ভাইকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আজকের সাক্ষাতে রাজানৈতিক ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার ছোট ভাই অনেক অসুস্থ। তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা তিনি (ওবায়দুল কাদের) করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
শনিবার (২২ মে) রাত ৯টায় নিজের ফেসবুক লাইভে এসে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। উনার সঙ্গে ঈদে কথা হয়েছিল। ওই সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন ‘তুমি আগে ঢাকায় আসো, তোমার সঙ্গে সময় করে কিছু কথা বলবো।’
তিনি আরও বলেন, আজ উনার সঙ্গে যা কথা বলেছি তার মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। আমার ছোট ভাই খুব অসুস্থ। ওবায়দুল কাদের সাহেব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে ব্যাংকক পাঠানোর জন্য। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘তুমি কিছু কথাবার্তা বলেছ, আমি কিছু বলিনি। এ নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছে আমাকে, আমি বলেছি ও (আবদুল কাদের মির্জা) একসময় ভুল বুঝতে পারবে।’
লাইভে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, স্পষ্ট ভাষায় আবারও বলছি, আমি সাহস করে সত্য কথা বলবো। আমি অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সত্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সবসময় সত্য কথা বলে যাব। যতদিন বেঁচে থাকি এ থেকে কেউ আমাকে সরাতে পারবে না। আশা করি, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করে সমৃদ্ধ একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বেন।
এর আগে শনিবার (২২ মে) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
এ বিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মন্ত্রীর সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি আমাকে সংকট নিরসনে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও আমার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন অসুস্থ। তিনি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। গত ডিসেম্বরে বসুরহাট পৌরসভায় দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন আবদুল কাদের মির্জা।
হাসিব আল আমিন/এসকেডি