ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি আ.লীগ সভাপতিকে গণধোলাই
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন নুরের ওপর আদালত চত্বরে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সিলেট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন চত্বরের নিচে এই হামলা ও মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেল ৩টার দিকে সায়েম হত্যা মামলার আসামি আমির হোসেন নুরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় নিহত সায়েম আহমদ সোহেলের স্বজন ও অনুসারীরা আসামিকে মারধর ও গণধোলাই দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামির ওপর হামলার ঘটনাটি জেনেছি। পুলিশ সেখানে উপস্থিত আছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছি।
এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর মীরের ময়দান বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের সামনের সড়ক থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমির হোসেন নুরুকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত সাড়ে ৮টায় বালাগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা প্রদান করায় উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে নিহত সায়েম আহমদ সোহেলের চাচাতো ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিআর মামলা (নং ০২/২০১৯) দায়ের করেন।
মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ