প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
‘পলকের সঙ্গেও ছিলেন, এখন বিএনপির সমাবেশেও আছেন’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত ‘পলকের সঙ্গেও ছিলেন, এখন বিএনপির সমাবেশেও আছেন’ শীর্ষক একটি সংবাদের প্রেক্ষিতে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরছি— আমি ডা. ফারজানা রহমান। আমি পেশায় একজন চিকিৎসক এবং সোশ্যাল ওয়ার্কার। এখানে যে ছবিটি শিরোনামের পর ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ২০১৮ সালে সিংড়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আনন্দ স্কুল প্রকল্পের একটি অনুষ্ঠান যেখানে আমি দাতা হিসেবে উপস্থিত ছিলাম, সে অনুষ্ঠানে সিংড়া থানার সব কয়টি আনন্দ স্কুলের শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রচারণার অংশ হিসেবে তৎকালীন মন্ত্রী (জুনাইদ আহমেদ পলক) সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেটি কোনো জনসভা ছিল না। এই ছবিটি জুড়ে দেওয়া উদ্দেশ্যমূলক বলে প্রতীয়মান হয়।
সংবাদের প্রথম অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয় আমি জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত যুব মহিলা লীগ কর্মী। বিএনপির জনসভায় যুব মহিলা লীগের সক্রিয় কর্মী থাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমি দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই যে আমি কখনো আওয়ামী লীগ বা তার কোনো অঙ্গ সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম না। এমনকি তাদের প্রাথমিক সদস্য পদেও ছিলাম না। আমাকে কোন কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখার প্রশ্নই আসে না। আপনার স্থানীয় প্রতিনিধি এবং অন্য অনেক সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন সময় এখানে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মসূচি কাভার করতে এসেছেন, তারা কেউ কখনো আমাকে এসব কর্মসূচিতে দেখেননি। আপনার স্থানীয় প্রতিনিধি আমার কাছে জানতে চাইলে আমি বিষয়টি তাকে পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করি। এ ধরনের সংবেদনশীল তথ্য পরিবেশনের আগে তিনি চাইলে সহজেই যুব মহিলা লীগের কমিটি যাচাই করেও নিশ্চিত হতে পারতেন, অথচ তা না করে তিনি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বাক্যগুলো যুক্ত করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি তার বক্তব্যে নিজেই স্বীকার করেছেন যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে তিনি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এটি সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তথ্য তিনি তার নিজের বক্তব্যে স্বীকার করলেন। তিনি জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি। এটি সর্বজনবিদিত যে, এই অ্যাওয়ার্ড ওই সময় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠদের মধ্যেই দেওয়া হতো। প্রতিবেদনে তাকে যুব মহিলা লীগের কোনো পদে থাকার কথা বলা হয়নি, বরং আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ফলে যুব মহিলা লীগের কমিটি যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই, কারণ বিভিন্ন কর্মসূচিতে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দেয়।
এছাড়াও আমার কাছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের অনুসারী রাজনীতিবিদদের দেওয়া তথ্য উপাত্ত রয়েছে যা দ্বারা তাকে নিশ্চিতভাবে বলা যায় তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি যথাযথভাবে প্রমাণ, তথ্য, এবং সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো পক্ষপাত, মিথ্যা তথ্য, বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ ছিল না। আমার কাছে সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য, ছবি, ও সাক্ষ্য সংরক্ষিত রয়েছে।
আরএআর