শেখ মুজিবের চেয়ে তার মেয়ে বেশি ভয়ংকর : দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ মুজিবের চেয়ে তার মেয়ে আরও বেশি ভয়ংকর। গত ১৬ বছরে কত হাজার মায়ের বুক তিনি খালি করেছেন তার হিসাব নেই। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ দুই হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও নিখোঁজ করেছেন, কিংবা আয়নাঘরে পাঠিয়ে জীবন শেষ করে দিয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামুসজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনা দম্ভ করে বলতেন মুজিবকন্য নাকি পালায় না। এমন দৌড় দিয়েছেন যে দেশে এমন দৌঁড় আর কেউ দিতে পারেননি। আবার নাকি তিনি ফিরে আসার চিন্তা করছেন। আমি বলতে চাই আপনি দেশে আসেন। কত মানুষকে আপনি খুন করেছেন, কত লাখ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন, গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, স্বাধীনতা বিপন্ন করেছেন তার জবাব দিতে হবে। কেন বাংলাদেশের মানুষকে আপনি ভারতের দাসত্বে রূপান্তর করেছিলেন তারও জবাব দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যে স্বপ্নকে পূরণ করতে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে চাই। শহীদ জিয়া যেমন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন, শ্রমিকদের কাজ দিয়েছিলেন, বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছিলেন, তারেক রহমান ও বেগম খালেদায় জিয়া সেই বাংলাদেশ গড়তে চান। আমরা রক্ত দিতে জানি, আন্দোলন করতে জানি, ত্যাগ স্বীকার করতে জানি। এক আল্লাহ ছাড়া বিএনপি কারো কাছে মাথা নত করে না।
শামুসজ্জামান দুদু বলেন, একাত্তরে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান ঘোষণা করেছিলেন, আমি মেজর জিয়াউর রহমান বলছি- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। এই ঘোষণার বাহিরে কোনো ঘোষণা নয়। দেশের কিছু প্রতারক শহীদ জিয়াকে ছোট করার জন্য নানা মিথ্যাচার করেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান এককভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে রক্ষীবাহিনী দিয়ে সাড়ে তিন বছরে ৪০ হাজার বিরোধী দলের মানুষকে হত্যা করেছিল। দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। উত্তরের বাসন্তী সেই সময় মাছ ধরার জাল দিয়ে লজ্জা নিবারণ করেছিল। সেই সময় মানুষের অধিকার বলতে কিছু ছিল না।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসা, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম প্রমুখ।
এরপর জেলা ও মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জিয়া মঞ্চ, কৃষক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, জাসাসসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের অংশগ্রহণে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর