বাপ-দাদার দেশ মনে করে শেখ হাসিনা যা ইচ্ছা তাই করেছেন : সোহেল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, এ দেশে ৯ বছর লড়াই করে নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আর এই নির্বাচন ব্যবস্থা দীর্ঘ ১৬ বছরে ধ্বংস করে ফেলেছে। দিনের ভোট রাতে করেছে। ১৫৪ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যে দেশে কোনো স্বৈরাচার থাকবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতার নেশায় শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। অন্য কোনো কারণে না হলেও এই নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য শেখ হাসিনার হাজার বছর সাজা হওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত ডামি নির্বাচন দিয়েছে।
ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ভারত খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনার দুঃখে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। বাংলাদেশকে দুর্বল ভাববেন না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করলে দিল্লি পর্যন্ত খবর করে ছাড়ব। বন্ধুত্ব করলে হাসিনার সাথে না, এ দেশের জনগণের সাথে করুন। আমাদের হাত বাড়ানো আছে।
হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, গত ১৬ বছর রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। কিছুদিন পর পর আমাদের কোনো রক্তাক্ত সহযোদ্ধা শহীদের গায়েবানা জানাজা পড়তে হতো। এই একটি মাত্র মহিলা শেখ হাসিনা জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। বিএনপির নেতাকর্মীদের একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। বাপ-দাদার দেশ মনে করে উনি যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কিছু দিন পর ইন্ডিয়া গিয়ে আশ্বাস নিয়ে আসতেন। এইবার কোনো কিছুতেই কাজ হলো না। বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া করে শেখ হাসিনা এখন দেশছাড়া। এই দেশে আর আশার সুযোগ নাই। দেশের মানুষ জুলাই-আগস্ট শহীদদের রক্তের কথা ভুলবে না। সব রক্তের হিসাব দিতে হবে। মরা মানুষ কখনো ফিরে আসে না। রাজনৈতিকভাবে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। পালিয়ে গেছে চোরের মতো। যারা বলেছিল শহীদ জিয়া মরে গেছে, বিএনপি শেষ হয়ে গেছে, এখন তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছেন।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর মোল্লা, রুহুল হোসাইন, অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস, জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সুমন, সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু নাসের সুমন, সদস্য সচিব শহীদুল্লাহ কায়সার শহীদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহম্মেদ নেভিনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ২৭ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলকে সভাপতি ও হাজী ইসরাইল মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/আরএআর