আজও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
কনকনে শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। জেলায় টানা তিন দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ।
এর আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড রেকর্ড করা হয়।
শহরের একাধিক শ্রমিক-ভ্যান-রিকশাচালকরা বলছেন, বাতাসের কারণে কাজ করতে সমস্যায় পড়ছেন তারা। রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। যাত্রী খুবই কম। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না। এতে উপার্জন কম হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. রকিব সাদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তীব্র শীতে রোটাভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগ রোগীই শিশু। শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে তিন থেকে চার শতাধিক বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে। শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আজ রোববার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
আফজালুল হক/আরকে