বদলি হলেন ফরিদপুরের সেই ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরের ইউএনও আল মামুনকে ‘অবমুক্ত’ করা হয়েছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংস্থাপন শাখার এক অফিস আদেশে তাকে অবমুক্ত করা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর ওই পত্রে স্বাক্ষর করেন জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম মোল্লা।
ওই অফিস আদেশে বলা হয়, ‘প্রজ্ঞাপনমূলে জনাব আল মামুন (১৭৮৩০), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদরপুর, ফরিদপুর-কে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তাকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নিমিত্ত ১১/১২/২০২৪ তারিখ অপরাহ্ণে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত করা হলো।’
পত্রের শেষাংশে বলা হয়, ‘তিনি তার দায়িত্বভার জনাব রুবানা তানজিন (১৮৬৫৮), সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদরপুর, ফরিদপুর-এর নিকট হস্তান্তর করবেন।’
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইউএনও আল মামুন জানান, তিনি আজ রাতেই সদরপুর ত্যাগ করবেন। তার পরবর্তী গন্তব্য গাইবান্ধা। সেখানে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেবেন।
গত ১১ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সভায় ‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’- এমন মন্তব্য করার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আল মামুনকে তাৎক্ষণিক মৌখিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। সেদিন জেলার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান।
এদিকে ওইদিন রাতে ও পরদিন সকালে ইউএনও আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও তাকে কর্মস্থলে বহাল রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সদরপুর উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া সদরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে একই দাবিতে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে ইউএনও আল মামুন বলেছিলেন, গত ৩০ নভেম্বর সদরপুর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাও উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই জানেন ‘আমি এ জাতীয় কোনো কথা বলিনি’।
জহির হোসেন/এমজেইউ