মাদরাসার সেপটিক ট্যাংকে মিলল শিশুর বস্তাবন্দি লাশ
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর ভারেল্লা কামিল মাদরাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে ৭ বছরের শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২২ মে) দুপুরে ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভারেল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্য ও পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।
শিশুটি ভারেল্লা গ্রামের সিএনজিচালিত এক অটোরিকশার চালকের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে নিহত শিশুর চাচা মাদরাসার দপ্তরি কইয়ুমকে (২১) আটক করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ওই শিশুটিকে মোবাইল টাকা পাঠানোর জন্য বাড়ির পাশে দোকানে পাঠানো হয়। তবে কয়েক ঘণ্টা পার হলেও বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়স্বজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে শুরু করেন। পরবর্তীতে মাইকিং ও থানায় জিডি করা হয়।
শনিবার সকালে ওই শিশুটির চাচা কইয়ুম ফোন করে পরিবারকে জানান, এক ফকির বাবা বলেছেন, ‘শিশুটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। আশপাশে খুঁজলে লাশ পাওয়া যাবে।’ পরবর্তীতে চাচা কইয়ুম নিজেই সেপটিক ট্যাংকে লাশ পড়ে আছে বলে সবাইকে জানান এবং বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেন।
মীমের দাদা আব্দুল মান্নান জানান, আমরা ধারণা করছি কইয়ুম পরিকল্পিতভাবে নাতনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রেখেছেন। কয়েকমাস আগেও তিনি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ভারেল্লা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান শাহ কামাল জানান, লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে জানিয়েছি। তারা এসে তদন্ত করছেন। সাত বছরের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মামুন বিষযটি নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছি। ময়নাতদন্ত শেষ জানা যাবে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি না? লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে।
এমএসআর