ভারতের কোনো দালাল প্রতিনিধিকে আমরা বরদাশত করবো না
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, বাংলাদেশ আমাদের, এ দেশের মানুষের। ভারতের কোনো বিদ্বেষ, ভারতের কোনো দালাল প্রতিনিধিকে আমরা বরদাশত করবো না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আট কোটি যুবক, আট কোটি কৃষক বুকে মাইন বেঁধে আপনাদের প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত আছে। আর বিশ্ব রাজনীতিতে আমরা একা না, আমাদের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়া রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কে কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষক দলের এই নেতা বলেন, এ দেশের ৭০-৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। কৃষকরা ফসল উৎপাদন না করলে শহরের বুদ্ধিজীবী সাহেবদের ফুটানি বন্ধ হয়ে যাবে, অর্থনীতি বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের কৃষকের সন্তান গার্মেন্টসে শ্রম না দিলে বৈদেশিক মুদ্রা বন্ধ হয়ে যাবে, আর কৃষকের সন্তান প্রবাসে শ্রম না দিলে রেমিট্যান্স বন্ধ হয়ে যাবে। আর বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাংক চলবে না, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। সেখানে বসে গুটি চেলে এ দেশে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চায়। আর সেখানের হিন্দুত্ববাদী সরকার তার পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে।
‘ভারতের মমতা ব্যানার্জি, আপনারা বাংলাদেশের নামে অপপ্রচার সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি করে আবার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পাঠাতে চান’-মন্তব্য করে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ওই হুমকি-ধমকি পরোয়া করে না।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে, বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারলে কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা, মহানগর কৃষক দলের সদস্যসচিব মুরাদ হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়ক থেকে শুরু হয়ে জেনারেল হাসপাতালের মোড় হয়ে মুজিব সড়ক দিয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়, আলীপুরের মোড়, গোরস্থানের মোড়, হাজরাতলার মোড় হয়ে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
জহির হোসেন/এমজেইউ