দেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলা হবে
ভারতকে উদ্দেশ্য করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, এদেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে আখাউড়া যাওয়ার পথে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড মোড়ে যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এস এম জিলানী বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা লংমার্চ করছি। ভারত নিজেদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দাবি করে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গণ-আন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাসহ তার সব দোসরদের আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই—এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ না। এই বাংলাদেশ শহীদ জিয়ার, খালেদার জিয়ার, তারেক রহমানের বাংলাদেশ। এদেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে তাকালে সেই চোখ উপড়ে ফেলা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারতের আগরতলা অভিমুখী লংমার্চের যাত্রাপথে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই পথসভার আয়োজন করে।
দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই লংমার্চ কর্মসূচি করছে বিএনপি।
ভৈরবে লংমার্চের গাড়িবহর প্রবেশ করার সময় সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়িবহরকে স্বাগত জানান। এ সময় নানা রকম স্লোগান দেন তারা। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা দেখা যায়।
এর আগে, সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এএমকে