যুবদল নেতা রাকিব হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ভোলা লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব হত্যা মামলার পলাতক আসামি মো. রাকিবকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা এলাকায় র্যাব-২ ও র্যাব-৮ যৌথ অভিযান চালিয়ে একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করেন।
রাকিব লালমোহনে বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরু হাওলাদারের ছেলে।
এদিন সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৮ ভোলার ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, লালমোহনের বদরপুর ইউনিয়নের আবু তৈয়ব হত্যা মামলার ৪নং আসামি মো. রাকিব। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। শনিবার দুপুরে ঢাকায় র্যাব-২ ও র্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রাকিবকে লালমোহন থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে ভোলার লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বাজারে গত ১৮ নভেম্বর বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে আহত হওয়া আবু তৈয়ব চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি মো. রাকিব, তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় রাকিবসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বাজার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর শাখা বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ গ্রুপ ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা কামাল সুইচ গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে দু-গ্রুপের অন্তত ১০ জন গুরুতর জখম হন।
তাদের মধ্যে মো. শাওন ও আবু তৈয়ব নামে দুইজনকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেলে পাঠান। পরে সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয় এবং ঢাকা মেডিকেলে চিকিসাধীন থাকাকালীন অবস্থায় আবু তৈয়ব মারা যান।
আরকে