৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ তিনজনের, পরিবারের কাছে টাকা দাবি
কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় স্পিডবোট ডুবির ৩ দিনেও নিখোঁজ তিনজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে নিখোঁজ থাকা ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে তার স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত বাল্কহেড চালক শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার কোরালতলী এলাকার বাসিন্দা খালেক মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবার থেকে জানানো হয়েছে নিখোঁজদের স্বজনদের কাছে মোবাইল করে টাকা দাবি করা হচ্ছে। যদিও দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে সর্বশেষ ২টা ৫৩ মিনিট দুর্ঘটনার শিকার নিখোঁজ ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বার পর্যন্ত চালু ছিল। তাদের মোবাইলও এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে কি প্রযুক্তিতে স্বজনদের কাছে টাকা দাবি করা হচ্ছে তা অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওইদিনই এসআই ওমর ফারুক বাদী হয়ে স্পিডবোট চালক ও বাল্কহেড চালকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ভোলার উত্তরচর ভেদুরিয়া এলাকার বাসিন্দা স্পিডবোট চালক আল আমিন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নোওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে রাসেল আমিন (২৫) এবং বাবুগঞ্জের রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে সজল দাস (৩০) নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় জালিস মাহমুদ নামে একজন নিহত হয়েছেন। যদিও তার মরদেহ দুর্ঘটনার কিছু সময় পরেই পাওয়া যায়।
দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সজল দাসের মোবাইল নম্বর থেকে তার মায়ের মোবাইল নাম্বারে কল করে ২৫ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ সজলের চাচা শংকর দাস। এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
শংকর দাস বলেন, একটি চক্র নিখোঁজ স্পিডবোটের চালক আল আমিন, রাসেলের স্বজনদের কাছেও একইভাবে টাকা দাবি করছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোলা থেকে স্পিডবোটটি ১০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয়।বিকেল ৩টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ব্যক্তিদের।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে