ভারত ও হাসিনার ষড়যন্ত্রের নীল নকশা দেশের মানুষ রুখে দিয়েছে
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ভারত ও শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা এঁকেছিল। আদালত প্রাঙ্গণে একজন আইনজীবীকে হত্যা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি দিয়েছিল ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ভারত ও গণহত্যাকারী হাসিনার ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর ) বিকেল সাড়ে ৩টায় দিকে গণঅধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ জেলা কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা স্বতন্ত্র কিংবা ডামি পরিচয়েও যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
গণঅধিকার পরিষদ ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম আশিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কবির, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের রিহান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খাঁন বলেন, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম অংশীদার গণঅধিকার পরিষদ। স্বৈরাচার হাসিনার পতনের জন্য আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। কিন্তু আজ আমরা একদল আরেক দলের, এক নেতা আরেক নেতার পেছনে লাগছি। এটা চলতে থাকলে আমাদের গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে। মানবতাবিরোধী গণহত্যাকারী হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। অডিও ফাঁসের মাধ্যমে তারা নাটক করছে। এটা স্বৈরাচারের ফিরে আশার অপকৌশল।
ভারত অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম মিলেমিশে বসবাস করছে। ভারতের নীলনকশায় ইসকনকে দিয়ে আমাদের একজন আইনজীবীকে হত্যা করেছে। তারা ফাঁদ পেতেছিল। ভারত ও হাসিনার সেই ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ রুখে দিয়েছে। ভারতের ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরাজিত হয়েছে। সনাতনী ভাই-বোনেরা শেখ হাসিনার উসকানিতে পা দেবেন না।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে হাত খুলে লিখতে পারেননি। এখন আবার ঝিনাইদহে সেই দিন চলছে। সাংবাদিকরা আজও ভয় পাচ্ছেন সত্য নিউজ প্রকাশ করতে৷ আওয়ামী লীগ পালিয়েছে, কিন্তু নতুন করে চাঁদাবাজি চলছে। কাউকে ভয় পাবেন না, যে অন্যায় করবে, তার বিরুদ্ধে লিখতে হবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবশালী কাউকে ভয় পাবেন না৷ রাষ্ট্র সংস্কার ও দুর্নীতির নির্মূলে সবার কণ্ঠস্বর জাগ্রত করতে হবে। ঝিনাইদহে এখন যারা আওয়ামী আমলের মতো লুটপাট, দুর্নীতি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি নতুন রাজত্ব শুরু করেছে, তাদের রুখে দিতে হবে।
দলীয় পরিচয়ে কোনো অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের সুযোগ আছে রাজনীতি করার। স্কুল কলেজের সভাপতি, মসজিদ-মন্দিরের সভাপতি হওয়ার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে৷ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে। ঝিনাইদহের হাসপাতালে নানামুখী সংকট রয়েছে, এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। ইনশাআল্লাহ ঝিনাইদহে নতুন ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করব।
আব্দুল্লাহ আল মামুন/এমএসএ