পরকীয়ার অভিযোগে মাথায় স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু
বরগুনার আমতলী উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর লাঠির আঘাতে তিন্নি (২০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত স্বামী মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে আমতলী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূ আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা নামক এলাকার নিজাম উদ্দিনের মেয়ে।
অভিযুক্ত স্বামী মনিরুল ইসলাম পেশায় একজন অটোরিকশাচালক এবং একই উপজেলার তারিকাটা নামক এলাকার হারুন খায়ের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মাত্র আট মাস আগে তিন্নির বিয়ে হয়। কিছুদিন পরেই স্ত্রী পরকীয়া আসক্ত হয়ে পড়েছেন বলে সন্দেহ করতে শুরু করেন স্বামী মনিরুল ইসলাম। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে প্রায় সময়ই বাকবিতণ্ডা ও অশান্তি শুরু হলে পারিবারিকভাবে তাদের নিয়ে বৈঠকও করা হয়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে একই বিষয় নিয়ে আবারও মনিরুল ও তিন্নির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত মনিরুল তিন্নির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হলে মনিরুল ইসলাম ও তার মা স্ত্রী তিন্নিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতাল থেকে পালাতে চাইলে স্থানীয় লোকজন মনিরুলকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মনিরুলকে গ্রেপ্তার করেন।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি স্ত্রীর পরকীয়ায় আসক্তির অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। এ ছাড়া নিহত তিন্নির মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, আগামীকাল ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
মো. আব্দুল আলীম/এএমকে