মেঘনায় পৃথক অভিযানে সাতজন আটক
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে নৌপুলিশের পৃথক অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উত্তর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন—শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আমান উল্যাহর ছেলে শাহ আলম ব্যাপারী (৩২), হানিফ মোল্লার ছেলে মোক্তার মোল্লা (৪০) ও করিম ব্যাপারীর ছেলে সুমন ব্যাপারী (৩০), কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার তবদপুর এলাকার আজিজ মিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমান (৫০), একই এলাকার মৃত খয়বর আলীর ছেলে আতাউর রহমান (৪৫) এবং বাল্কহেডের সুকানি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বালুচর এলাকার বাচ্চু দেওয়ানের মো. খলিল (৩২) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট এলাকার মা. আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন (৩০)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌপুলিশের একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি কাঠের তৈরি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ ও নগদ ২ হাজার ৪২০ টাকা উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে মতলব উত্তর উপজেলার নাসিরাকান্দি গ্রামে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে একটি ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন ও তা বাল্কহেডে ভরার সময় যৌথ অভিযানে চারজনকে আটক করা হয়। অভিযানে ড্রেজার মেশিন এবং বাল্কহেড নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, অভিযুক্তরা শরীয়তপুরের কাঁচিকাটা এলাকা থেকে এসে নৌযান থামিয়ে চালকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত ড্রেজার, বাল্কহেড এবং বালু বর্তমানে মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির হেফাজতে রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল হক/এএমকে