এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কোনো চাঁদাবাজি-দখলদারি হবে না
আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা সেবক হওয়ার পরিবর্তে মালিক হয়ে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন না করে নিজেদের ভাগ্য বদলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, যারাই আমাদের সামনে অতীতে এসেছেন। আমার ধারণা, আমার চাইতে সুন্দর সুন্দর ওয়াদা দিয়েছেন। তারা বলেছিলেন জাতির ভাগ্য বদলে দেব। দিনশেষে ভাগ্য বদল হয়েছে তাদের, সর্বনাশ হয়েছে জাতির। জাতির সেবক হওয়ার কথা ছিল, তারা মালিক হয়ে বসেছে। মালিক হওয়ার কারণে জাতির সম্পদ চুরি করে পকেটে ঢুকিয়েছে। সেই সম্পদ আবার দেশে রাখেনি, বিদেশে পাচার করেছে। তার আবার পুনরাবৃত্তি হোক আমরা ওটা আর চাই না।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা থেকে সড়ক পথে ফরিদপুর যাওয়ার পথে নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের মালিবাগ মোড়ে পথসভায় ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যে বাংলাদেশ কোনো চাঁদাবাজি হবে না, দখলদারি হবে না, মানুষের ওপর মানুষের কোনো জুলুম বরদাস্ত করা হবে না। সকলকে মানবিক মর্যাদা দিতে হবে। একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত সবাই মানুষের মর্যাদা পাবে। আমরা কারো শিক্ষা কিংবা পেশা দেখব না। আমরা দেখব আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত। সেইভাবে প্রত্যেকটি মানুষ অপর মানুষকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে।
তিনি বলেন, প্রিয় দেশ, আমাদের সবার। দল,ধর্ম, বর্ণ ও ভাষা বৈচিত্র্যের ঊর্ধ্বে উঠে এ দেশ আমাদের সবার। এজন্য আমরা এমন একটি সহনশীল ও মানবিক বাংলাদেশ চাই, যে বাংলাদেশে সবকিছু নির্বিশেষে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সকলেই মর্যাদা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারি। আমরা চাই, একটি দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেই বাংলাদেশে যুবকদের হাত বেকারের নয় কর্মীর হাত হবে।
শফিকুর রহমান বলেন, এমন বাংলাদেশ চাই, যেই বাংলাদেশ পুরুষরা যেমন ঘরে, রাস্তায়, কর্মস্থলে সর্বত্র নিরাপত্তার সাথে চলাফেরা করতে পারবে অনুরূপভাবে আমার মায়েরা-বোনেরা-মেয়রাও তাদের নিজস্ব আবাসে ইজ্জত এবং নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা করবে। কোনো জালেমের চোখ তাদের দিকে তাকানোর সাহস পাবে না।
এ সময় নড়াইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, নায়েবে আমির জাকির হোসেন বিশ্বাস, সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার, সহকারী সেক্রেটারি আবুল বাশার, অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, আইয়ুব হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর