ইউপি সদস্যকে হত্যার ১১ বছর পর দম্পতির যাবজ্জীবন
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার এক ইউপি সদস্যকে হত্যার ১১ বছর পর প্রতিবেশী দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলা থেকে একজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মো. আবুল মনসুর আসামিদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল হালিম।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন—পীরগঞ্জ উপজেলার কুশারীগাঁও গ্রামের প্রয়াত মাদু মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী মোমেনা বেগম। খালাস পেয়েছেন পীরগঞ্জ উপজেলার কুশারীগাঁও গ্রামের ফারাজ উদ্দীনের ছেলে মো. নয়ন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হালিম বলেন, ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলাউদ্দীন ফকির ওরফে ফকির মেম্বার নিখোঁজ হন। পরদিন কুশারীগাঁও গ্রামের জনৈক নাজিমের ভুট্টাখেত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আলাউদ্দীনের ছেলে বাদশা মিয়া প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী, মো. নয়ন, বাবুল এবং হামিদুল হককে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার এস. আই মো. রায়হান আলী তদন্ত শেষে মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী মোমেনা বেগম এবং মো. নয়নকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী মোমেনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হালিম।
আরিফ হাসান/এএমকে