ভবিষ্যতে বিনা ভোটে জয়ী হওয়ার সুযোগ থাকবে না : তোফায়েল আহমেদ
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, একক প্রার্থী থাকলেও ভবিষ্যতে বিনা ভোটে জয়ী হওয়ার সুযোগ থাকবে না। এ ক্ষেত্রে ‘না ভোট’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একজন প্রার্থী থাকলেও নির্বাচন করে বিজয়ী হতে হবে। কারণ, অন্য কোনও প্রার্থী না থাকলে এ ক্ষেত্রে ‘না ভোট’ই একজন প্রার্থীর ভূমিকায় থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বার্ড) এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সামনে পোস্টাল ভোটকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছি। যারা পোস্টাল ভোট দেবেন, তারা আগেই আবেদন করবেন। অনলাইনের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকেও পোস্টাল ভোটের আবেদনের ব্যবস্থা থাকবে। বাংলাদেশে আইনগতভাবে পোস্টাল ভোট চালু আছে, কিন্তু কার্যকারিতা নেই। আমরা এই ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, “প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশকে সমৃদ্ধ করছে। কিন্তু তারাই ভোট দিতে পারেন না। এ জন্য প্রবাসীদের কীভাবে ভোটের আওতায় আনা যায়, এ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সাংবাদিকসহ অনেকে ভোট দিতে পারেন না। তাদেরও কীভাবে ভোটের আওতায় আনা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি আমরা।”
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। আমরা এই বিষয়টি নিয়েও কাজ করছি।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা মানেই তিনি ভোটার। তবে কেউ মারা গেলে তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এ জন্য এনআইডিতে কোনও ত্রুটি থাকলে সেটাকে সংশোধন করার সুযোগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
বার্ডের মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারের আলোচক ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মাসুদা কামাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য মাসুদা খাতুন শেফালী।
এ সময় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম, বার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাবেক জনপ্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব তাদের মতামত তুলে ধরেন।
আরিফ আজগর/টিএম