বগুড়ায় কারাবন্দি আ. লীগ নেতা সাবেক অধ্যক্ষ ঝুনুর মৃত্যু
কারাগারে থাকা বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার আগে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
শাহাদত আলম ঝুনু পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা ছিল বলে জানা গেছে। গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার ভাটকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি বগুড়া জেলা কারাগারে হাজতি হিসেবে বন্দি ছিলেন।
বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝুনু গোসল করে ফেরার পথে স্ট্রোক করে বাথরুমের দরজায় ওখানে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে দেখেন এবং দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।
জেলার আরও বলেন, পরে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধ্যার দিকে তাকে দ্রুত সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
প্রসঙ্গত, জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বগুড়ায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ আগস্টের পর ঝুনুর বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলাসহ মোট ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর গত ২৫ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর কয়েকদিন আগে গত ১০ আগস্ট রাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন শাহাদত আলম ঝুনু।
শুভ কুমার ঘোষ/আরকে