‘অনাগত বাচ্চার মুখটাও আর দেখা হলো না’
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে যাত্রীবাহী অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বাকশীমূল এলাকার মনির মিয়ার স্ত্রী শাহিনূর আক্তার (৩০)। তিনি আট মাসের গর্ভবতী ছিলেন। ১০ বছর বয়সী আরও এক ছেলে শিশু রয়েছে শাহিনূরের।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুপুরে বাকশীমূল এলাকার মহাজের পাড়ায় কথা হয় নিহত শাহিনূরের স্বামী মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। পরের বছর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে আট মাসের গর্ভবতী ছিলেন শাহিনূর আক্তার। মঙ্গলবার সকালে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ট্রেনের ধাক্কায় শাহিনূরের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এক পর্যায়ে পেট ছিঁড়ে বাচ্চাও বের হয়ে আসে।
কাঁদতে কাঁদতে মনির বলেন, আমার আর কিছুই রইল না ভাই, এই ১০ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে আমি এখন কীভাবে বাকি জীবন পার করব। আমার ছেলে এখন কাকে মা ডাকবে? আমার অনাগত বাচ্চার মুখটাও আর দেখা হলো না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই বাকি তিনজনসহ মোট সাতজনের মৃত্যু হয়। লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরিফ আজগর/এএমকে