নীলফামারীতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ, তাপমাত্রা ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কমতে থাকা তাপমাত্রা জানান দিচ্ছে হেমন্তের বিদায় সময়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য উত্তাপ ছড়ালেও সন্ধ্যার পর বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা। রাতে তাপমাত্রা আরও কমে যায়। গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তরের জেলা নীলফামারীর তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১৫ ডিগ্রির নিচে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে সৈয়দপুরের আকাশে হালকা কুয়াশা বিরাজ করছে। এই কুয়াশা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেটে যাবে। কুয়াশার কারণে প্রায় দিনে সকালের দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে ৫০০ মিটার ভিজিবিলিটি আছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি বেড়ে যাবে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর পড়া কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, ফসলের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে টপটপ করে পড়ছে শিশিরবিন্দু। কুয়াশার কারণে সকালে সড়কের যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে।
জেলা সদরের ট্রাফিক মোড় এলাকার রিকশা চালক জয়নাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শীত আস্তে আস্তে বাড়া শুরু হইছে। রাইত একনা বেশি ঠান্ডা লাগেছে। সকালেও ঠান্ডা ভালোয় করেছে। ঠান্ডা বাড়লে হামারগুলার আয় রোজগার নাই হয়া যায়।
এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু-আল- হাজ্জাজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েকদিন ধরে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো একেবারেই যাবে না।
শরিফুল ইসলাম/আরকে