তিন মাস ধরে বন্ধ হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ, দ্রুত শুরুর আশ্বাস
প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হচ্ছে খুলনায় হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ। আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরোর প্রতিনিধি দল।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ১২ সদস্যের একটি টিম প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো লাগবে বলে জানান তারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার রানা ধর এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিন ম্যানেজার প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়সহ ১২ সদস্যের একটি টিম সোমবার দুপুর ১২টায় নগরীর পশ্চিম রূপসা এলাকায় হাইটেক পার্ক এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা প্রকল্প এলাকায় থাকা মালামাল ও নির্মাণাধীন ভবন ঘুরে দেখেন।
ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিন ম্যানেজার প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখলাম। কাজ এখন পুরোপুরি বন্ধ থাকায় এখানে কোনো শ্রমিক নেই। শ্রমিক নিযুক্ত করাসহ সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছি। আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়বে বলেও জানান তিনি।
প্রজেক্ট ম্যানেজার রানা ধর বলেন, সবাই জানে কাজ কেন বন্ধ হয়েছিল, আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ভারতে চলে গিয়েছিল। আমাদের কোর টিম আবার চলে এসেছি। মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে, আমরাও উদ্যোগ নিয়েছি, খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নাই। কারণ এ পর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় কোনো সমস্যা হয়নি, মনে হয় না কোনো অসুবিধা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরীর পশ্চিম রূপসা এলাকায় প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ দশমিক ৫৯ একর জমিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের নভেম্বরে। সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতে চলে যায়। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় থাকা শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই দিন থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে স্টিল স্ট্রাকচারের সাত তলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন ও একটি সিনেপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, বাউন্ডারি ওয়াল, গেস্ট হাউজ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ওয়াকওয়ে, নলকূপ স্থাপন ও অভ্যন্তরীণ পানি সরবরাহ ও ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজ। নির্মাণাধীন সাত তলা ভবনের তিন তলা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৩৬ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো রয়েছে। যা একনেকে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে আছে। প্রকল্প ব্যয় সামান্য বাড়তে পারে।
প্রকল্প পরিচালকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা হাইটেক পার্কে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মোহাম্মদ মিলন/এএমকে