হাতিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১৪ ডাকাত কারাগারে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১৪ ডাকাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে হাতিয়া আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া বার আউলিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩টি দেশীয় অস্ত্র, তিনটি হরিণের শিং, ১৮টি মোবাইল, একটি ঘড়ি এবং নগদ ৪৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ভজেন্দ্র কুমার দাসের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র দাস (৪৬), বিপ্লব চন্দ্র দাসের ছেলে শিমুল চন্দ্র দাস (২২), দীপক চন্দ্র দাসের ছেলে মিটন চন্দ্র দাস (২১), গোপিনাৎ চন্দ্র দাসের ছেলে যুবরাজ চন্দ্র দাস (২৮), বিমল মজুমদারের ছেলে ভিবেষ মজুমদার (৩৮), একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মোল্লা গ্রামের মো. গনির ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২৬), ৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ জোটখালি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (২২), চর ঘাসিয়া এলাকার মৃত আজহার আহম্মদের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (৬০), চানন্দী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম আদর্শ গ্রামের কৃষ্ণ কুমার দাসের ছেলে রণজিৎ চন্দ্র দাস (৪৩), হাজী গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে মো. মামুন (২৮), হাসিনা নগর গ্রামের মোহন চন্দ্র দাসের ছেলে রাজীব চন্দ্র দাস (২৭), রসুলপুর গ্রামের শফিউল্যার ছেলে মো. এমরান (৪০), বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড অনন্তপুর গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. কাশেম (৫৩) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. রিয়াজ (২৪)।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়ার গহীন জঙ্গলে অবস্থান করে বিভিন্ন নিরীহ মানুষের ট্রলার, গরু-মহিষ ডাকাতি করে আসছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৪ ডাকাত ও তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩টি দেশীয় অস্ত্র, তিনটি হরিণের শিং, ১৮টি মোবাইল ফোন, একটি ঘড়ি এবং নগদ ৪৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জব্দকৃত আলামত এবং ডাকাত সদস্যদের হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাদের হাতিয়া আদালতে সোপর্দ করা হয়। তারপর বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।
হাসিব আল আমিন/এফআরএস