বাগেরহাটে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদক কারাগারে
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনসহ ৯ জন জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ওসমান গনি তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ শেষে স্থানীয় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা ফেরার পথে তাদের ওপর হামলা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন শরণখোলার উত্তর সাউথখালী এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক নামের এক জামায়াত নেতা।
বাদী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ঢাকার সমাবেশ থেকে ফেরার সময় রায়েন্দা মাছ বাজারে আমাদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আমিসহ আটজন মারাত্মক আহত হই। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল আমাদের। তাদের প্রভাবে কোথাও অভিযোগ পর্যন্ত দিতে পারিনি। সরকার পতন হলে আদালতে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের নামে মামলা করি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আসামিদের মধ্যে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শেখ আবু তালেব/এএমকে
