সহকর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে রাবি অধ্যাপকের সংবাদ সম্মেলন
সহকর্মীর বিরুদ্ধে গবেষণা প্রবন্ধ জালিয়াতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষক। চেয়ারম্যান হতে না পেরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব অভিযোগ এনেছেন বলে পালটা দাবি অভিযুক্ত শিক্ষকের।
অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন। অন্যদিকে অভিযোগকারী শিক্ষক আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পিটার।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিয়াতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন অধ্যাপক পিটার।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, জালিয়াতি ও ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন। সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ লাভের জন্য ছয়টি প্রবন্ধের সব কয়টিই জালিয়াতি করেছেন তিনি। প্লেজিয়ারিজম সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৈধ হলেও তিনি প্রকাশায় ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত প্লেজিয়ারিজম করেছেন এমন অভিযোগও আনেন অধ্যাপক পিটার।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির সব প্রমাণ দেওয়া হলেও ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না এ বিষয়ে হাইকোর্ট রিট করবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান অধ্যাপক পিটার।
অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক সাহাল উদ্দিন বলেন, অধ্যাপক পিটার চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন সেটা না হতে পেরে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব অভিযোগ এনেছেন। উনি শিক্ষক হিসাবেও যোগ্য না। তিনি পাগল, এই পাগলামির জন্য তাকে চাকরিচ্যুত করা উচিত।
জুবায়ের জিসান/এএমকে